শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতের সাক্ষী প্রতীক্ষালয়ের জরাজীর্ণ দশা , সংস্কারের দাবী

29th May 2021 3:20 pm হুগলী
শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতের সাক্ষী প্রতীক্ষালয়ের জরাজীর্ণ দশা , সংস্কারের দাবী


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : অজানা এক অদৃশ্য কারণে আদালত ভবনের সাক্ষীর প্রতীক্ষালয় ভবনটির জীর্ণ দশা।  কঙ্কালসার প্রতীক্ষালয়টি তৈরি হয়েছিল ডেনিস আমলে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিহাস ঘেরা দুবছরের প্রাচীন শ্রীরামপুর মহকুমা আদালত ভবনের নির্মাণ মেরামতি অনেক কিছুই হয়েছে। প্রতিদিন মহকুমা এলাকায় ছটি থানার বিভিন্ন মামলায় হাজার হাজার বিচার প্রার্থী সকাল হতেই ভীড় জমান।   এই জীর্ন ভবনটির জন্য একমুঠো বালি, সিমেন্ট, সুরকি কিছুই বরাদ্দ হয়নি। অথচ ভবনটির মধ্যে রয়েছে সব গুরুত্বপূর্ণ নথি। সামান্য বৃষ্টিতে ভবনটির ভেতরে  জল  জমে যায়। যখন তখন খসে পরে দেওয়াল সহ ছাঁদের পলেশটার। যার ফলে ছোট খাটো দূর্ঘটনা অসংখ্য বার ঘটেছে। কিন্তু কর্মীরা কাজ করছেন  খালি পাঁয়ে চেয়ারের উপর পা তুলে কারন গোরালি পর্যন্ত জল থাকায়। কর্মীরা পা নিচে নামাতে পারে না। চরম আতঙ্কের সঙ্গে তারা কাজ করে চলেছেন। জলে, পোকায় কাটছে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ নথি। সম্পতি দু শো বছর ডেনিস স্থাপত্য গুলি সংরক্ষণ মেরামতি অনেক কিছু  কম বেশী পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এরখম একটি ভবনের জরাজীর্ণতা সকলেই নজর এড়িয়েছে। গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। অনেক ভাবেই  আবেদন নিবেদন আইনজীবী ও মহলের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। সরোজমিনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ রারংবার এসেছেন এবং সংরক্ষণের প্রয়োজন মনে করেছেন।  কিন্তু কি কারনে আজও পর্যন্ত অবহেলিত ভবনটি তার উত্তর খুঁজতেই হতাশ আইনজীবীরা। উন্নয়নের জোয়ার গোটা রাজ্য ভাসলেও ভাটার সুরেই নিরবে কেঁদে চলছে এই ঐতিহ্যবাহী ভবনটি। বিষয়টি শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক "সম্রাট চক্রবর্তীকে"  জানানো হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। PWB কে জানানে হয়েছে। গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।